আসসালামু আলাইকুম।আশা করি সকলেই ভালো আছেন।তো আজ আমি আপনাদের কাছে নিয়ে এলাম অক্ষয়ের সেরা মুভি…যেটা দেখলে আপনি এক সেকেন্ড ও মিস করতে পারবেন না….তাহলে কথা না বাড়িয়ে মুভিটির রিভিয় দেওয়া যাক…সাথে ডাউনলোড লিংক ও পাবেন।
Movie Name : Airlift
IDMB : 8/10
language; Hindi
Directed by : Raja Krishna Menon
Starring : Akshay Kumar and Nimrat Kaur…
Budget ; ₹ 300 million
Box office ; est. ₹ 251 crore
যুদ্ধ, ছোট্ট একটি শব্দ, কিন্তু প্রভাব বিস্তর। ক্ষমতাশালীদের কাছে এটি আরো ক্ষমতা পাবার হাতিয়ার, সাধারণের কাছে এটা শুধুই এক বিভীষিকা।
যখনই যেখানে যে ইস্যু নিয়েই যুদ্ধ বাধুক না কেন, মানবতা সেখানে বিপন্ন হবেই। বাঘে সিংহের লড়াইয়ের মধ্যে নলখাগড়া যেমন নিতান্তই উৎসর্গীত হয়,ঠিক তেমন যে কোনো যুদ্ধেই অকাতরে বলী হয় সাধারণ মানুষ। আর সেই রক্তের হোলিখেলায় গোসল করে বিত্তশালী হয়ে ওঠে আরো বিত্তবান, ক্ষমতাবানেরা হয়ে ওঠে দৌর্দন্ডপ্রতাপশালী।
এরই মধ্যেই কখনো কখনো আত্মপ্রকাশ ঘটে কোনো ছাইচাপা আগুনের। এসব সাধারন লোকের ভেতর থেকেই জন্ম নেয় মহান কোনো ব্যক্তিত্ব, যার হাত ধরেই মানবতা পেরিয়ে যায় যুদ্ধের উত্তাল সাগর। এক যুদ্ধ শেষ হয়ে হয়ত আরেকযুদ্ধ শেষ হয়, আর তার সাথেই তাল মিলিয়ে চলে এসব অগ্নিপুরুষের মহাযাত্রা।
এমনই একজন মানুষের গল্প “এয়ারলিফট”। রঞ্জিত একজন সফল ব্যবসায়ী, বউ মেয়ে নিয়ে বেশ সচ্ছলভাবেই বাস করে কুয়েতে। নিজেকে একজন ইন্ডিয়ানের চেয়ে বেশী কুয়েতী মনে করে সে। কিন্তু তার এই সুখের সময়ে বাধ সাধে কুয়েত-ইরাক যুদ্ধ। ইরাক তার সামরিক শক্তি দিয়ে কুয়েত দখল করে সেখানে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এই প্রথম রঞ্জিত বুঝতে পারে দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পরবাসী হয়ে থাকার ফল।
নিজের পরিবার নিয়ে কুয়েত ছাড়ার জন্যে উন্মুখ হয়ে ওঠে সে। অনেক চেষ্টার পর সুযোগও পেয়ে যায় সে। কিন্তু এমন সময়ে তার মনে জেগে ওঠে দেশাত্ববোধ, মানবতাবোধের চেতনা। কুয়েতে বসবাসরত এক লক্ষ সত্তর হাজার অসহায় ভারতীয়কে এই জলন্ত নরকে ফেলে রেখে যেতে তার মন সায় দেয় না। সে একত্র করে সব ভারতীয়দের। সাদ্দামের দখলদার বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তার সামনে একটিই মাত্র লক্ষ্য দাঁড়ায়, তা হল, এই ১ লক্ষ ৭০ হাজার ভারতীয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সে কি পারবে একাই এত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে?
বলিউডে অক্ষয় কুমার আমার বেশ প্রিয় অভিনেতা। তথাকথিত ৩০০ কোটি-৪০০ কোটি ক্লাবের সুপারহিট সিনেমা করার চেয়ে সে অনেক ভাল মানের সিনেমা স্থিতি বজায় রেখেই করে বলে আমার অভিমত।
অক্ষয় একটু বেশি সংখ্যক মুভি করে এবং তার বেশিরভাগই বাজে, এই হলো তার হেটারদের ভাষ্য। আমিও একমত, তবে পার্থক্য হচ্ছে আপনি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে মুভিটাকে বাজে বলবেন?
কমেডিতে অক্ষয় পরীক্ষিত সুপারহিট অভিনেতা, সেই সাথে সে যে সিরিয়াস রোলেও দুর্দান্ত অভিনয় করতে পারে তা গত কয়েক বছরের মুভিগুলোই জ্বলন্ত সাক্ষী।
স্পেশাল ছাব্বিশ, হলিডে, বেবি, গাব্বার এর মত প্রতিবছরই সে একটি করে মুভিতে নিজের অভিনয়স্বত্তাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। যেন তারই ধারাবাহিকতায় এবছরের মুভি এয়ারলিফট।
বলিউডে রিয়েলিস্টিক মুভির জগতে অক্ষয় এখন এক সেনসেশনই বলা যায়।
এক কুয়েতী ব্যাবসায়ি থেকে দেশপ্রেমিক অগ্নিপুরুষ ভারতীয় বনে যাবার এই যাত্রায় সে তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ , অভিব্যক্তি, ডায়ালগ ডেলিভারি সব দিক দিয়েই আমাকে সন্তুষ্ট করেছে।
আমাকে যদি এখন বলিউডের সেরা তিন সিরিয়াস রোলের অভিনেতা বাছাই করতে বলা হয়, আমি অনায়াসেই ইরফান খান, নওয়াজ সিদ্দিকীর সাথে অক্ষয়ের নামটাও যোগ করব।
অক্ষয়ের সহভিনেত্রী হিসেবে আছেন নিমরাত কৌর। এনাকে এর আগে লাঞ্চবক্সে দেখেছিলাম, ছিমছাম সাবলীল অভিনয়ের জন্য তখনই তাকে খুব ভাল লেগে যায়। অক্ষয়প্রধান এই মুভিতে তার ভুমিকা খুব বেশী না হলেও তার উপর অর্পিত কাজটুকু তিনি ভালভাবে করেছেন।
বিশেষ করে মুভির একপর্যায়ে টানা কয়েকমিনিটের ডায়ালগ ডেলিভারিতে সে বেশ ভাল করেছে।
এর আগে পরিচালক হিসেবে রাজা মেননের তেমন বিশেষ কোনো মুভি না থাকলেও এই মুভিতে তিনি কোনো অদক্ষতার ছাপ রাখেন নি। ইরাকী বাহিনী কতৃক কুয়েত দখল, তাদের ধংসলীলা, মানবতা লংঘন এসবই বেশ পাকা হাতে সেলুলয়েডে তুলে ধরেছেন তিনি।
তবে নিরাজ পান্ডের মত ক্যামেরা সেটাপ করে শটগুলো নিলে আরেকটু বেশি থ্রিল বোধ করতাম। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর অবশ্য বেশ ভাল ছিল।
মুভির গানগুলোর মধ্যে “SOCH NA SAKE” গানটা মুভি চলাকালীন সময়ে দারুন লেগেছিল। অন্যান্য গানগুলোও মুভির সেটাপের সাথে মানিয়ে গিয়েছে। অরিজিৎ যা গায় তাই ভালো লাগে ।
*** স্পয়লার *** মুভিটা নির্মিত হয়েছে ১৯৯০ সালের কুয়েত-ইরাক যুদ্ধকালীন সময়ে কুয়েতে বসবাসকারী ভারতীয়দের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে। তখন ম্যাথুনী ম্যাথুস আর বেদী নামে দুজন ব্যাক্তির সাহসী পদক্ষেপের ফলে ১৭০০০০ ভারতীয় সফলভাবে দেশে ফিরতে পারে।
এই ঘটনা গিনেস রেকর্ড বুকে সবচেয়ে বড় শরনার্থীযাত্রা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা আছে। মুভিতে অবশ্য স্টোরিতে বেশ এদিক সেদিক করা হছে যা পুরোপুরি গ্রহনযোগ্য ***
সিরিয়াস থ্রিলার মুভিগুলো নির্মাণে দিন দিন ভারতীয় পরিচালকদের হাত পাকা হয়ে উঠছে। সামনের মাসে আরেকটি বাস্তবঘটনা অবলম্বনে নির্মিত মুভি “নির্জা” আসবে, সেটার অপেক্ষায় থাকলাম।
যারা ড্রামা বেইসড থ্রিলার মুভি পছন্দ করেন তাদের জন্য মাস্ট ওয়াচ মুভি হলো, “এয়ালিফট”, দেরি না করে গরম গরম দেখে ফেলুন।
Download Link/watch link
YouTube এ মুভিটি দেখুন
The post এখুনি দেখে নিন অক্ষয়ের Airlift মুভিটি সাথে আমার দেওয়া রিভিউ [না দেখলে পস্তাবেন] appeared first on Trickbd.com.
Source:
It is my belief that mesothelioma is definitely the most dangerous cancer. It’s got unusual attributes. The more I really look at it the greater I am certain it does not conduct itself like a real solid flesh cancer. When mesothelioma can be a rogue viral infection, in that case there is the potential for developing a vaccine plus offering vaccination to asbestos exposed people who are open to high risk regarding developing foreseeable future asbestos connected malignancies. Thanks for giving your ideas on this important ailment.
It is my belief that mesothelioma is definitely the most dangerous cancer. It’s got unusual attributes. The more I really look at it the greater I am certain it does not conduct itself like a real solid flesh cancer. When mesothelioma can be a rogue viral infection, in that case there is the potential for developing a vaccine plus offering vaccination to asbestos exposed people who are open to high risk regarding developing foreseeable future asbestos connected malignancies. Thanks for giving your ideas on this important ailment.